
“তাঁদের গানের সময়ে গুরুদোয়ারার অধিকর্তারা কেমন মাইক বন্ধ করে দিতেন, সে কথা আমাকে মহিলারা বলেছিলেন। তাঁদের ঢোলকিগুলোকে গুরুদোয়ারা চত্বরের বাইরে ফেলে রাখা হত,” বললেন, গুরুদাসপুর জেলার কাহ্নুয়ান গ্রামের আদিনিবাসী এবং বিগত ৪১ বছর যাবত দিল্লির বাসিন্দা নরিন্দর কউর।
৬৩ বছর বয়সি এই মহিলা নতুন দিল্লির এক অতি সম্মানিত কীর্তনীয়া। নিজে গান করার সঙ্গে সঙ্গে শিখ মহিলাদের গুরু গ্রন্থ সাহিব থেকে গৃহীত ধর্ম-সংগীতের প্রশিক্ষণ দেন। এই গানকে শবদ কীর্তন বলা হয় এবং এটি গীত হয় গুরুদোয়ারার ভিতরে এবং তার চৌহদ্দির মধ্যেই।
সংগীতে দক্ষতা সত্ত্বেও, অন্যান্য শিখ মহিলাদের মতো তাঁকেও শিখ ধর্মস্থানে নিজের স্থান করে নিতে প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে বলে জানালেন কউর।
২০২২ সালে, দিল্লি শিখ গুরুদোয়ারা পরিচালন কমিটির প্রকাশিত তথ্যপঞ্জিতে তালিকা করে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে কারা তাঁদের পরিচালিত গুরুদোয়ারায় বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গান গাইবেন অথবা গ্রন্থ সাহিব থেকে পাঠ করবেন। এই তালিকাভভুক্ত ৬২ জন রাগি ও ধাড়িদের মধ্যে যে একটি মেয়েরও নাম নেই, তা-ই নরিন্দর কউরের কথার সত্যতা প্রমাণ করে। কবিদের অবস্থা খানিক ভালো, ২০টির মধ্যে আটটি পদ মেয়েদের কপালে জুটেছে।
“সামনের মাসে আমার গুরুদ্বারায় গান গাওয়ার এক বছর পূরণ হবে,” ২০২২ সালের গোড়ায় কবি পদে নিযুক্ত হওয়া বিবি রাজিন্দর কউর জানালেন।


বাঁদিকে: নরিন্দর কউর কীর্তন প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য মহিলাদের একত্রিত করেন। ফটো তুলেছেন হরমন খুরানা। ডানদিকে: নিজের জাঠার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নরিন্দর কউর, দিল্লি ফতে দিবসে সংগীত পরিবেশন করছেন। ছবি নরিন্দর কউরের সৌজন্যে প্রাপ্ত
শিখ ধর্মাবলম্বীদের স্বীকৃত আচরণবিধি ও প্রথা, শিখ রেহাত মর্যাদা অনুসারে, শিখ ধর্মের যে কেউ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে, গুরুদ্বারায় কীর্তন পরিবেশন করতে পারেন। ঐতিহাসিক সব গুরুদোয়ারা পরিচালনার ক্ষেত্রে যাকে সর্বোচ্চ নির্ধারক মনে করা হয়, সেই শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটিও গুরুদ্বারায় মহিলাদের কীর্তন পরিবেশন করাকে সমর্থন জানিয়েছে। এই কমিটির নির্দেশ মান্য করে চলে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ ও চণ্ডীগড়ের সব গুরুদ্বারা।
এত ক্ষমতাধরদের সমর্থন মেলার পরেও বহু শিখ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি মনে করেন গুরুদোয়ারার ধর্মীয় কাজকর্মে মেয়েদের অধিকার দেওয়া উচিত নয়। ফলে স্বাভবিকভাবেই গায়িকারা অবহেলিত থেকে যান।
এই লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন কীর্তনকার, জসবিন্দর কউর, “একই চত্বরের অন্যান্য গুরুদ্বারায় গান গাওয়া নিষেধ নেই, তবে কেন ধার্মিক, নিয়মানুবর্তী, সংগীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদেরও কেন স্বর্ণমন্দিরের মূল কক্ষে গান গাইতে দেওয়া হয় না?” ৬৯ বছর বয়সি এই মহিলা, নতুন দিল্লির মাতা সুন্দরী কলেজে, গুরমত সংগীতের অধ্যাপক। গুরমত গীতির ঐতিহ্য শিখ ধর্মের সমান প্রাচীন, জসবিন্দর তারই প্রশিক্ষণ দেন শিক্ষার্থীদের।
স্বর্ণমন্দিরের গর্ভগৃহ শিখদের প্রার্থনার সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত, সেখানে মহিলা শিল্পীদের সংগীত পরিবেশন করার অনুমতি নেই। বিবি জাগির কউর শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির সভানেত্রী হওয়া সত্ত্বেও শিখ ধর্মের কর্ণধাররা এই বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেন না। জাগির কউর ২০০৪-২০০৫ সালে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন এবং এই বিষয়ে তাঁর এই মর্মে উদ্ধৃতি আছে যে তিনি মহিলাদের কীর্তন পরিবেশন করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যে আবেদনপত্রগুলি জমা পড়েছিল, তার মধ্যে কোনওটিই নাকি যথাযোগ্য ছিল না বলে তিনি জানালেন। বিষয়টি এরপরই চাপা পড়ে যায়।
দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, রক্ষণশীল শিখ শিক্ষালয়, দমদমি তকসলও তাঁর বিরোধ করে। গুরু গোবিন্দ সিং সর্বপ্রথম গুরু যিনি শিখদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রস্তুত করেছিলেন। এই তকসল মনে করে যে গুরুদের সময়ে যেহেতু কেবল পুরুষদেরই সংগীত পরিবেশনের অধিকার ছিল, আজ মহিলাদের গাইতে দিলে সেই ঐতিহ্যের প্রতি অমর্যাদা করা হবে।


১৯৪০ সালে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি, শিখ ধর্মে দীক্ষিত মহিলাদের কীর্তন পরিবেশন করার অনুমতি দেওয়ার পর থেকে এই বাধা দূর করার বহু চেষ্টা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে অকাল তখত তাদের নির্দেশনামা বা হুকুমনামায় এই অনুমতি পুনরায় দেওয়া সত্ত্বেও লিঙ্গবৈষম্য এক্ষেত্রে রয়েই গেছে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে পঞ্জাব বিধানসভায় গৃহীত একটি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অকাল তখত ও প্রবন্ধক কমিটিকে এই মর্মে অনুরোধ জানায় যাতে মহিলাদের স্বর্ণমন্দিরের মূল কক্ষে কীর্তন পরিবেশন করতে দেওয়া হয়। বিধানসভার সদস্যরা অনেকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেন এই যুক্তিতে যে ধর্মীয় বিষয়ে রাজ্যের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।
হোসিয়ারপুর জেলার সোহিয়ান গ্রামের সিমরন কউর, বিয়ের আগে নিজের তুতো বোনেদের সঙ্গে স্থানীয় গুরু রবিদাসজি গুরুদ্বারায় ঘণ্টাখানেক করে কীর্তন গাইতেন। ২৭ বছরের এই মহিলা সন্ত বাবা মীহান সিংজির নামাঙ্কিত স্থানীয় আর একটি ছোটো গুরুদ্বরায় যেতেন নিয়মিত। সেখানেও তিনি মেয়েদের গান গাইতে দেখেছেন এবং এটাকে কোনও অভূতপূর্ব ঘটনা বলেও মনে করতেন না। ছোটো গুরুদোয়ারাগুলি প্রবন্ধক কমিটির অধীন না হওয়ায় সেখানকার পরিচালন ব্যবস্থায় ও কাজকর্মে গোঁড়ামির ছাপ অনেক কম।
“গ্রামে মেয়েরাই মূলত গুরুদোয়ারাগুলির দেখাশুনা করেন। পুরুষরা, সকালবেলাতেই কাজে বেরিয়ে যান। যে আগে গুরুদোয়ারায়া পৌঁছায়, সেই গান শুরু করে দেয়,” জানালেন সিমরন।
এই কথা সব গ্রামের ক্ষেত্রে সত্যি না হলেও, হরমনপ্রীতের অভিজ্ঞতা দেখায় যে অবস্থার পরিবর্তন ক্রমে হচ্ছে। তরন তারন জেলার পট্টির এক কীর্তনকার ১৯ বছরের হরমন জানালেন যে তিনি স্থানীয়, বিবি রজনীজি গুরুদ্বারায় কোনও মহিলাকে সংগীত পরিবেশন করতে দেখেননি। অথচ তাঁর বাবা, যিনি গুরুদ্বারায় প্রার্থনার সময়ে গ্রন্থ সাহেব পাঠ করেন, তাঁকে কীর্তনে হাতে খড়ি দেন আর এখন হরমন বিশেষ অনুষ্ঠানে কীর্তন পরিবেশনও করেন।


বাঁদিকে: ২০০৬ সালে গুরু রবিদাসের জন্মতিথিতে সিমরন কউরের মাসি নিজের মেয়ের সঙ্গে কীর্তন পরিবেশন করছেন। ফটো: জসবিন্দর কউরের সৌজন্যে। ডানদিকে: বিয়ের পর সিমরনের কীর্তন গাওয়ায় ছেদ পড়েছিল, কিন্তু এখন কাছেই একটি গুরুদ্বারায় আবার রেওয়াজ শুরু করার চেষ্টায় আছেন
৫৪ বছর বয়সী দিলবাগ সিং থাকেন, পাঠানকোট থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে, তিনি জানালেন যে গুরু সিং সভা গুরুদ্বারায় মহিলারা প্রতি শনিবার কয়েক ঘণ্টা করে কীর্তন পরিবেশন করেন আর প্রার্থনা করেন। তাঁদের ওখানে মহিলা পরিচালিত কীর্তনের দলও আছে। দলগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতে যায়।
২৫ বছর বয়সি সুখদীপ কউরের শিখ বিদ্যা চর্চা ও ধর্মীয় বিদ্যা চর্চা – এই দুটি বিষয়ে পাতিয়ালার পঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে। তিনি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলার লাসোই গ্রামে থাকেন। তিনি মনে করেন যে এই ধরনের লিঙ্গ বৈষম্যের জন্য পুরুষদের দোষ দেওয়া ঠিক না। তাঁর যুক্তিতে, গুরুদ্বারায় প্রার্থনা সংগীত গাইতে যাওয়ার চেয়ে “মেয়েরা সংসার আর বাচ্চা সামলাতেই বেশি আগ্রহী হয়।”
নরিন্দর কউর অবশ্য মনে করেন যে মেয়েরা সবই একসাথে সামলাতে পারে। যে সব মেয়েরা দিনে কিছুটা সময় অভ্যাস করতে আর গুরুদোয়ারায় গান গাইতে আগ্রহী, তাঁদের নিয়ে তিনি ২০১২ সালে গুরুবাণী বিরিসা সম্ভাল সৎসঙ্গ জাঠা গঠন করেন। “ওঁরা তো নিজেদের সংসার সন্তান, সবই সামলান। তাঁরা সিংদের (শিখ পুরুষ) চেয়ে দ্বিগুণ সেবা প্রদান করেন।”
শিখ সংখ্যালঘু কলেজের ধর্মীয় সংগঠনগুলি শিক্ষার্থীদের গুরমত সংগীতের প্রশিক্ষণ দেয়। ২০১৮ সালে, কাজল চাওলা, যিনি এখন কৃপা কউর নামে পরিচিত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গুরু গোবিন্দ সিং কলেজ থেকে অর্থনীতিতে সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। এই ২৪ বছরের মেয়েটি কলেজে পড়াকালীন সেখানকার ধর্মীয় সংগঠন, বিসমদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের সঙ্গে এখনও তাঁর যোগাযোগ আছে। তিনি বললেন, “বিভিন্ন ধরনের পরিবার থেকে আসা আমাদের সদস্যদের কীর্তন, কবিতা, ও প্রার্থনা প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা হয়। কলেজের উৎসবগুলি আমাদের তৈরি হতে আর আত্মবিশ্বাস গড়তে সাহায্য করে।”



“যে বেশি রিয়াজ করবে মঞ্চে সেই সবাইকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে,” বললেন বকসন্দ সিং। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসজিটিবি খালসা কলেজের ধর্মীয় সভায় তবলা বাজান। এখানকার শিক্ষার্থীরা দিল্লির বিভিন্ন গুরুদোয়ারায় সংগীত পরিবেশন করা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যেও একই কাজে ভ্রমণ করেন।
তরুণ শিখদের উৎসাহ অবশ্য তাঁদের অবস্থার বিশেষ উন্নতির কারণ হয়ে উঠছে না। “বহু মহিলা গুরুদোয়ারায় কীর্তন পরিবেশন করলেও, তাঁদের কাউকে আমি রাগি বা গ্রন্থি হিসাবে নিযুক্ত হতে দেখিনি,” দিল্লির শিখ গুরুদোয়ারার বিগত পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য, ৫৪ বছর বয়সী চমন সিং জানালেন। তিনি জানালেন যে মহিলাদের কেরানি হিসাবে বা হিসাব রক্ষার কাজে নিজুক্ত করা হয় অথবা নিয়োগ করা হয় লঙ্গরে রান্নার কাজে। কীর্তনকাররা ৯,০০০ – ১৬,০০০ টাকা অবধি মাসিক বেতন পান।
“আসল ক্ষমতা থাকে গুরুদোয়ারার পরিচালন সমতির হাতে। সমিতি যখন গুরুপরব অথবা সমাগমের আয়োজন করে, তখন প্রতিষ্ঠিত রাগিদের বদলে তরুণ ছাত্র বা মেয়েদের কেন অনুষ্টান করতে ডাকে না?” প্রশ্ন তুললেন দিল্লির পরমপ্রীত কউর।
৩২-বছরের এই মহিলার হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম থাকার সঙ্গে সঙ্গে পাতিয়ালার পঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্নাতকোত্তর ডিগ্রী আছে গুরমত সংগীতে। তাঁর মতো আরও অনেক মহিলার কণ্ঠস্বর ক্রমেই সুরের জগতে জোরালো হচ্ছে। আশা করা যায় এই স্বর কিছুদিনের মধ্যেই গুরুদ্বারা নির্বিশেষে গুঞ্জরিত হওয়ার অনুমতি পাবে।
ਭੰਡਹੁ ਹੀ ਭੰਡੁ ਊਪਜੈ ਭੰਡੈ ਬਾਝੁ ਨ ਕੋਇ ॥
ਨਾਨਕ ਭੰਡੈ ਬਾਹਰਾ ਏਕੋ ਸਚਾ ਸੋਇ ॥
নারীর জঠর হতে নারী সে জনম লহে;
নারী বিনে কেহ নাহি রহিবে ধরায়।
এই পদটি গুরু গ্রন্থ সাহিবের মেহ্লা ১ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি আসা রাগে গীত হয়।
পারি’র হোমপেজ-এ ফিরতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
Editor's note
হরমন খুরানা হালেই মুম্বইয়ের সোফিয়া পলিটেকনিক থেকে সোশ্যাল কমিউনিকেশন মিডিয়া বিষয়ে স্নাতক হয়েছেন। শিখ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে নারীদের ভূমিকাকে খতিয়ে দেখার জন্য এই প্রকল্পটি সহায়ক হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন: “এই প্রতিবেদনের জন্য কাজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমি সেইসব সামাজিক প্রতিষ্ঠান যা সাম্যের ধারণার উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছিল, সেখানে কেমনভাবে লিঙ্গ বৈষম্য গেঁড়ে বসে সে সম্পর্কে সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টি লাভ করেছি। আমি সাংবাদিকতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের মিশেলে গঠিত এক অবস্থানে থেকে এই কাজটি উপভোগ করেছি। একক প্রতিবেদকের কাজের সমান্তরালে একজন ক্যামেরাপার্সন হিসাবে দ্বৈত ভূমিকায় কাজ করতে গিয়ে আমি এমন বহু মহিলাদের সঙ্গে মনোগ্রাহী আলোচনায় অংশ নিতে পেরেছি যাঁরা বিষয়টিকে সম্যকভাবে অনুভব করেছিলেন। তাঁদের ভাবনাচিন্তা এবং বিশ্বাসকেই আমি এখানে প্রতিটি শব্দের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছি।
অনুবাদ: চিলকা
চিলকা কলকাতার বাসন্তী দেবী কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর গবেষণার বিশেষ ক্ষেত্রটি হল গণমাধ্যম ও সামাজিক লিঙ্গ।