“আমার সঞ্চয়ের তলানিটুকু দিয়ে বেঁচে আছি,” বলছেন ৪০ বছর বয়সী স্টেশন ফেরিওয়ালা অসীম বিশ্বাস। লকডাউনের আগে অশোক নগর রোড রেলস্টেশনে পরোটা বিক্রি করতেন। “সংসারের ১২ জনের দায়িত্ব আমার উপর। আমি ঘর রং করার মিস্ত্রির কাজ করার চেষ্টাও করেছি। এই কাজ থেকে দৈনিক ৩০০-৩৫০ টাকা পাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই কাজও ফুরিয়ে গেল।”

২৪ মার্চ যখন লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগর রোডের মতো রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মগুলি জনমানবহীন হয়ে পড়ে থাকে; হঠাৎ করে স্টেশন চত্বরের হকাররা এবং চলমান ফেরিওয়ালারা সকলেই কর্মহীন হয়ে পড়েন।

“আমি মাসিক ১২,০০০-১৫,০০০ টাকা আয় করতাম, কিন্তু লকডাউনের পর এখন আমার না আছে কাজ আর না আছে কোনও রোজগার,” বলছেন শহরতলির ৩৩৮৫১ নম্বর ট্রেনের এক ফেরিওয়ালা ২৬ বছর বয়সী জয় বিশ্বাস। সদর দপ্তর কলকাতাগামী ট্রেনগুলির বেশিরভাগই শহরতলির অশোক নগর, হাবড়া, গোবরডাঙা, গুমা, বিরা, মসলন্দপুর, বনগাঁ এবং ঠাকুরনগর ইত্যাদি অঞ্চল থেকে দিনমজুর এবং গৃহকর্মীদের কলকাতায় নিয়ে আসে। জয়ের বাবা, ৫৩ বছর বয়সী যতীশ বিশ্বাসও ওই লাইনেরই একজন হকার।

একই লাইনের আরেক হকার ৩৫ বছর বয়সী পূজা সিংহ ট্রেনে চিরুনি, চা ছাঁকনি, বাটি, স্ক্রাবারের মতো রকমারি প্লাস্টিকের গৃহস্থালির জিনিসপত্র ফেরি করেন। এখন বাহির পথে বসে তিনি যাত্রীদের নজর কাড়বেন বলে আশা করছেন। “খাবারদাবার কেনার ক্ষমতা আমাদের প্রায় নেই বললেই চলে, কখনও কখনও না খেয়েও থাকি। আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও ধরনের সাহায্য পাইনি,” তিনি বলছেন।

জয়, যতীশ এবং পূজার মতো ‘চলমান’ ফেরিওয়ালারা লোকাল এবং শহরতলির ট্রেনে ঘুরে ঘুরে বাদাম, ডাল এবং ফল থেকে শুরু করে চিরুনি, সাবান, সস্তা গয়না, বই ইত্যাদি নানান টুকিটাকি জিনিসপত্র বিক্রি করেন। বেচাকেনার জন্য নিজেদের ইউনিয়নের ঠিক করে দেওয়া ট্রেনরুটেই কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়, অন্য রুটের ট্রেনে ইচ্ছেমাফিক ফেরি করাতে পারেন না তাঁরা। জয় সকালের ৮:৫৫-এর হাবড়া লোকাল ধরেন, এক ঘণ্টা পরে দমদম ক্যান্টনমেন্টে নামেন এবং বনগাঁর দিকে সেই একই ফিরতি ট্রেনে ওঠেন। শহরতলির এই লোকাল ট্রেনে প্রতি এক ঘণ্টার যাত্রায় তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে পেয়ারা এবং মোসাম্বি লেবু বিক্রি করেন।

পূজা সিংহ, চলমান হকার, বর্তমানে অশোক নগর রোড স্টেশনের বাহির পথে বসে রকমারি জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। আলোকচিত্র: সুমন্ত রায়

‘আমাদের কথা কেউ শোনে না’

“ফেরিওয়ালাদের ওপর কোনও সরকারি তথ্য নেই,” বলছেন ন্যাশানাল হকার্স ফেডারেশন (NHF) এবং হকার সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সচিব মুরাদ হোসেন। তাঁর অনুমান, প্রায় ১ কোটি ফেরিওয়ালা রোজগারের জন্য রেলের যাত্রীদের উপর নির্ভর করেই প্ল্যাটফর্ম ও চলন্ত ট্রেনে জিনিসপত্র এবং খাবারদাবার বিক্রি করেন।

এই লকডাউন তাঁদের জীবিকা ও রোজগারে থাবা বসিয়েছে। “পশ্চিমবঙ্গে দুজন রেলওয়ে হকার রোজগার হারিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই অতিমারি গোটা হকার সম্প্রদায়কেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন চত্বরের তথা ট্রেনের চলমান ফেরিওয়ালারা। ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ফেরিওয়ালারা তাও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। কিন্তু প্রায় সাতমাস ধরে কোনও ট্রেন না চলায় স্টেশনে বসা এবং চলমান ফেরিওয়ালারা বিপন্ন,” বলছিলেন মুরাদ।

কোয়েল রায় চৌধুরি লোকাল ট্রেনে গান গেয়ে উপার্জন করেন। তাঁর একটি ছোট্টো মেয়ে আছে। স্বামী তাঁদের ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি ট্রেনে ফেরি করা শুরু করেন। “মানুষ আমার প্রতিভার কদর করতেন [এবং আমাকে তাঁরা অর্থও দিতেন]। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন আমি স্থানীয় বাজারে চা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমি আমার ঘরেই চা বানাই এবং আমার সাইকেলে চা নিয়ে এক বাজার থেকে আরেক বাজারে দিনে দুইবার বিক্রি করি।”

এই প্রবন্ধে উল্লিখিত বেশিরভাগ ফেরিওয়ালাই জাতি পরিচয়ে নমশুদ্র দলিত এবং তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-১ এবং হাবড়া-২ ব্লকের বাসিন্দা। চলমান ফেরিওয়ালারা মাসে প্রায় ১৫,০০০ টাকা আয় করেন, স্টেশনের ফেরিওয়ালাদের আয় থাকে মাসিক প্রায় ৮,০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে। স্টেশনে বসা এবং রেলে ফেরি করা উভয় ফেরিওয়ালাই আমাদের বলেছেন, তাঁদের শীতের মাসগুলিতে বেশি আয় হয় যেহেতু এইসময় আবহাওয়া ভালো থাকে – যাত্রীরা বেশি খরচ করেন এবং খাবারদাবারও বেশি কেনেন। “গ্রীষ্মকালে আমার মতো একজন চিনাবাদাম বিক্রেতার পক্ষে গরমের মধ্যে ভিড় ঠেলে প্রতিটা কামরায় বিক্রি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না,” বলছেন ২৪ বছর বয়সী ডাল এবং চিনাবাদাম বিক্রেতা শুভ হালদার।

জয়ের মতো অনেক ফেরিওয়ালাই দিনমজুরের কাজ যোগ দিয়েছেন, তবে এই স্বল্প মজুরির, অদক্ষ-শ্রম ভিত্তিক কাজের সন্ধানে আসা অন্যান্য কর্মহীন দিনমজুরের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে। “কয়েকদিনের জন্য দৈনিক ৩৫০ টাকা মজুরিতে পাথর ভাঙার কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সেই কাজও শেষ হয়ে গেল। এখন আমি আমাদের এলাকায় ফল বিক্রি করি; আমার কোনও সাইকেল নেই, তাই আমি আমার মাথায় বয়েই সেগুলো ফেরি করি,” বলছেন জয়।

৫২ বছর বয়সী জনাদন হালদার ২০ বছর ধরে বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনের বিক্রেতা। “আমি লকডাউনের আগে দিনে ২৫০ টাকা আয় করতাম। এখন আমি হাবড়া থেকে মোসাম্বি কিনি এবং সাইকেলে করে বিভিন্ন কলোনিতে বিক্রি করি,” তিনি বলেন। আমফানে হালদারের বাড়ি ভেঙে গেছে এবং তিনি সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারের কাছে কোনও দাবি আছে কিনা জানতে চাওয়ায় তাঁর উত্তর, “আমাদের কথা শোনাই হয় না, দাবি থাকলেই বা কী হবে।”

ব্রাত্য রেলের হকাররা

যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা (শুধুমাত্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে) ১২ই মে, ২০২০ তারিখে শুরু হয়েছিল, কিন্তু সেইসময় ফেরিওয়ালাদের ট্রেনে ওঠার অনুমতি ছিল না। কিছু কিছু রুটে দূরপাল্লার ট্রেন চালু হয়েছে, কিন্তু শহরতলির দিকে ট্রেন পরিষেবা এখনও শুরু হয়নি; এই বিষয়টিও অনিশ্চিত যে এর পরে ফেরিওয়ালাদের ট্রেনে ফেরি করার অনুমতি আদৌ দেওয়া হবে কি না। বনগাঁ লোকালের ৪৫ বছর বয়সী চিনাবাদাম বিক্রেতা জয়দেব বিশ্বাস লকডাউনের পর এখন ফুটপাতে সবজি বিক্রি করেন। সকালের বাজারে তিনি নিজের সাইকেলে করে সেই সবজি ফেরি করেন। “আমি খুব বড়ো লোকসানের মুখে পড়েছিলাম। তাই এখন সবজির দোকানের মালিকের হয়ে নানা জায়গায় সবজি পৌঁছে দিই,” বলছেন তিনি।

বাঁদিক থেকে: জয়দেব বিশ্বাস, পূজা সিংহ, মিলন হালদার, অমর সেনগুপ্ত, দীপঙ্কর দেবনাথ, কাকলি জয়ধোর এবং পিঙ্কি সাহা। আলোকচিত্র: সুমন্ত রায়

সদ্য, মাত্র ২০১৪ সালেই, কেন্দ্রীয় সরকার ‘শহরের রাস্তার ফেরিওয়ালাদের অধিকার রক্ষা এবং রাস্তায় বিক্রি সংক্রান্ত কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে’ স্ট্রিট ভেন্ডরস (জীবিকা সংক্রান্ত সুরক্ষা এবং রাস্তার বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ) অ্যাক্ট এনেছে। অবশ্য, এই আইনে এটাও বলা হয়েছে যে এটি ‘১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইন অনুসারে রেলওয়ের মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন কোনও জমি, জায়গা এবং ট্রেনের’ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

ফেরিওয়ালাদের ইউনিয়নগুলি এই আইনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য লড়াই করছে তবে তাঁদের আরও নানান সমস্যাও আছে। “রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী চলমান ফেরিওয়ালাদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করে এবং প্যান্ট্রিকার ফেরিওয়ালা এবং লোকাল ট্রেনের সাধারণ ফেরিওয়ালাদের মধ্যে আছে অন্তহীন বিরোধ,” বলছিলেন মুরাদ। “ট্রেন তথা স্টেশনের ফেরিওয়ালাদের মধ্যে দুইদলই আছেন – যাঁদের দোকান চালানোর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে এবং যাঁদের নেই রয়েছেন তাঁরাও। বেশিরভাগ স্টেশন ফেরিওয়ালাই হকারস ইউনিয়নের সহায়তায় চলেন,” তাঁর সংযোজন।

জগদীশ গাইন, ৬৮ বছর বয়সী রেলওয়ে ফেরিওয়ালা, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কলকাতা রুটে বারাসাত জংশনে ফল বিক্রি করেন। “আমার এই বয়সে আমি অন্য কোনও কাজ করতে পারি না। এখন আমি অসহায়,” বলছিলেন তিনি। “লকডাউনের আগে আমি দিনে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার করতাম। আমাদের কাছে এখন কোনও নগদ টাকা নেই এবং আমার পরিবার এখন গণবণ্টন ব্যবস্থার অধীনে থাকা দোকানের রেশনের উপর নির্ভরশীল।”

এন এইচ এফ এর সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস অর্গানাইজেশন মিলিতভাবে শিয়ালদহ ডেপুটি রেলওয়ে ম্যানেজার এবং জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে, তবে তারা এখনও কোনও সাড়া পায়নি।

৪৫ বছর বয়সী কাকলি জয়ধোরের স্বামী মারা গেছেন, দুটি শিশু সন্তানের মা তিনি। অশোক নগর রোড স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশে ফল বিক্রি করেন কাকলি। তাঁর কথায়, “আমার আশা শিগগির লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আমি আমার দুই সন্তানকে পালন করতে গিয়ে আমি খুব কষ্টের মধ্যে পড়েছি।”

বেসরকারিকরণ ঘিরে আশংকা

২০২০ সালের ১ জুলাই, ভারত সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল। ফেরিওয়ালাদের আশংকা রেলস্টেশনগুলির বেসরকারিকরণের ফলে ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মে বরাবরের মতো ফেরি করা বন্ধ হয়ে যাবে। এনএইচএফের মুরাদ বলেন, “এই সরকার বড়ো শিল্পপতিদের পক্ষে; তারা প্ল্যাটফর্মে একটি মল খুলবে এবং ফেরিওয়ালাদের জন্য কোনও জায়গা থাকবে না। তারপরে এক কাপ চা যা বর্তমানে ১০ টাকায় পাওয়া যায়, তখন বিকোবে ২৫ টাকায়।”

৫৩ বছর বয়সী অমর সেনগুপ্ত গত ৪২ বছর ধরে অশোক নগর রোড স্টেশনে তাঁর দোকানে ঘড়ি বিক্রি ও সারাই করে আসছেন। তাঁর আশংকা যদি প্ল্যাটফর্মের বেসরকারিকরণ হয় তবে তিনি তাঁর খদ্দেরদের হারাবেন। “এটা আমাদের জন্য বিরাট বড়ো আঘাত। আমার সঙ্গে অনেক খরিদ্দারের যোগাযোগ আছে, কিন্তু যদি আমাকে নতুন জায়াগায় যেতে হয় তাহলে রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।” শহরতলির ট্রেনে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শিবু দাসও একমত: “বেসরকারিকরণ হলে লাখ লাখ ফেরিওয়ালা মারা যাবে। খিদেই আমাদের মেরে ফেলবে। সরকারের কাছে আমরা অন্তত কোনও বিষয়ে অভিযোগ থাকলে জানাতে পারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রশ্ন করার কোনও সুযোগই নেই। তারা তাদের মর্জিমাফিক কাজ করবে।”

জেএনইউ-এর অধ্যাপক চিরশ্রী দাসগুপ্ত এবং অভিজিৎ অধিকারী, বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈরিক সেনগুপ্ত এবং সুব্রত সরকারকে এই নিবন্ধ রচনায় সাহায্য করার জন্য প্রতিবেদক আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।

বাংলা অনুবাদ: অঙ্কিতা পাল

অঙ্কিতা পাল বর্তমানে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞাপন ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী। তিনি ফ্রিল্যান্সার অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন। গ্রামীণ ভারত ও দেশের আদিবাসী সমাজ– এই দুটি তাঁর আগ্রহের বিষয়।

Editor's note

সুমন্ত রায় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার অফ সোশ্যাল মেডিসিন এবং কমিউনিটি হেলথের ছাত্র-গবেষক। তিনি জনস্বাস্থ্যের পরিসরে অসংগঠিত ক্ষেত্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং লকডাউন ও আমফান সাইক্লোন ঘিরে যে জীবিকা সংকট তৈরি হয়েছে তাকে সম্যকভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন। সুমন্ত বলছেন, “আমরা ক্লাসরুমে যে তত্ত্বগুলো পড়ি তার পাশাপাশি মাটিতে নেমে কাজ করাও জরুরি। আমার প্রাথমিক খসড়াগুলি গবেষণামূলক নিবন্ধের মতো ছিল এবং পারির কাছ থেকে শিখেছি যে এইগুলো কেমন করে গল্পের আকারে নথিবদ্ধ করতে হয় এবং লেখার সময় নিজের মতামত নয়, প্রতিবেদনের মূল চরিত্রের গল্প কেমন করে বলতে হয়।”