
“এই আজকে আমার প্রথম ঝুড়ি। এখনও সারাদিন কাজ করব,” একথা বলে ঘুরে গিয়ে সে নিজের পিছনের কোক-কয়লার আবর্জনার স্তূপ থেকে ব্যবহারযোগ্য কয়লার টুকরো তুলতে শুরু করে।
মাত্র ১২ বছরের প্রিয়াঙ্কা হেমব্রমের নাম সরকার-পরিচালিত তামলাবস্তি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাতায় তোলা আছে, অবশ্য তাঁর শিক্ষিকা বললেন যে সে স্কুলে প্রায় আসে না বললেই চলে। বাপ-মা মরা প্রিয়াঙ্কা থাকে তার নিজের পিসির সঙ্গে, তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের একটি ইন্টিগ্রেটেড স্টিল প্লান্টে দিনমজুরের কাজ করেন। পিসির বাড়িতে থাকার খরচ তোলার জন্য প্রিয়াঙ্কা কয়লা সংগ্রহের কাজ করে।
চেপি রায়ের বয়স এখন ৬০ পেরিয়েছে এবং এই ডিপোয় কর্মরত বয়স্ক শ্রমিকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর কথায়, “যখন বয়স অল্প ছিল, আমি একদিনে অনায়াসে ১০-১২ ঝুড়ি কয়লা সংগ্রহ করতাম। কিন্তু এখন আমি বেশিক্ষণ কাজ করতে পারি না। পিঠ ব্যথা করে, চোখও জ্বালা করে।”
এই হাড়ভাঙা পরিশ্রমের বিপজ্জনক কাজটি করেন যেসব মহিলারা তাঁদের মধ্যে আছেন চল্লিশের কোঠার শেষে পৌঁছানো মোমিনা বিবি। তিনি বলছেন, “আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম তখনও কাজ করেছি, এমনটা সব মহিলারাই এখানে করে। একেক সময়ে মনে হত আমার এই শরীরটাকে একটু বিশ্রাম দেওয়া উচিত।” তাঁর স্বামী মাঝে মাঝে ডিপোতে কয়লা বওয়ার করার কাজ করেন। কিন্তু স্বামীর প্রতি সপ্তাহের ২০০-৩০০ টাকা উপার্জনে তাঁদের সংসার চলে না। তাঁদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। মোমিনা সগর্বে বলেন যে তারা প্রত্যেকেই এখন স্কুলে মন দিয়ে পড়াশোনা করে। তিনি আরও বলেন যে, “আমার স্বামীর রোজগারের উপর শুধুমাত্র ভরসা করে বসে থাকলে আজ আমার একটা ছেলেমেয়েও হয়তো স্কুলে যেতে পারত না। আমি চাই আমার মেয়েরা ভালোভাবে বড়ো হোক, চাকরিবাকরি করুক এবং ভদ্রস্থ একটা জীবন কাটাক।”

দুর্গাপুর প্লান্টের চারপাশের শিল্পজাত বর্জ্য থেকে কয়লা সংগ্রহের কাজে কম বয়স, গর্ভবতী হওয়া বা স্বাস্থ্য জুতসই না হওয়া – কোনওটাই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের গোড্ডার কয়লাওয়ালাদের উপর পি সাইনাথ একটি প্রবন্ধে গোড্ডার কায়দায় জ্বালানির পুনর্জন্ম বলছেন: ‘আবর্জনা থেকে কয়লা খোদাই করে বের করার কাজটি সমাজের সবচেয়ে নিচুতলার মানুষেরা করে থাকেন… এভাবেই মূলত মহিলারাই গড়ে তোলেন এক অনন্য সঞ্চয় যাকে “জাতীয় আমানত” বলে থাকেন পণ্ডিতেরা।’
কিশোরী মেয়ে এবং মহিলারা দৈনিক ১০ ঘণ্টার কাছাকাছি কাজ করার পর উপার্জন থাকে মোটামুটি ১৫০ টাকা অবধি। এক একটি ২০ কেজি ওজনের ঝুড়ি বাবদ মেলে ২৫ টাকা পায় এবং প্রত্যেকেই যা কয়লা তোলেন তাতে পাঁচ ঝুড়ি কয়লা হয়ে যায় মেরেকেটে।
দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের মালিকানা এবং পরিচালনার দায়িত্বে আছে সরকারি সংস্থা স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SAIL)। এই স্টিল প্লান্টের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্পগুলি সরাসরি খনি থেকে আসা কয়লা ব্যবহার করে। কোক কয়লার কার্বোনাইজিংয়ের পর বর্জ্য কয়লা বা শক্ত কোক কয়লা তৈরি হয়- এই পড়ে থাকা কোক কয়লাগুলোই অন্যান্য শিল্প বর্জ্য যেমন ম্যাঙ্গানিজ, লৌহ আকরিক, সিন্টার ইত্যাদির সঙ্গে কয়লা ডিপোতে ফেলে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়। তারপর এগুলি বিভিন্ন মহাজনের (মালিক) কাছে নিলাম করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোতে পাঠানো হয়।
মোমিনা বলছেন,”মহাজনরা ডিপোতে খুব কম আসেন। যখন আসেন আমাদের সমস্যা এবং অভিযোগের কথা শুনতে কোনও উৎসাহ তাঁদের আছে বলে তো মনে হয় না।”
এখানে বেশিরভাগ সাঁওতাল আদিবাসী মেয়ে এবং মহিলারা অন্যান্য শিল্প বর্জ্য থেকে ব্যবহৃত কয়লা আলাদা করেন। তাঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা উবু হয়ে বসে খালি হাতেই শক্ত কয়লা তোলেন, কয়লার গুঁড়ো যাতে মুখে ও নাকে ঢুকে না যায় তাই শাড়ি বা ওড়নার প্রান্ত দিয়ে ঢেকে রাখেন। ধারে কাছে কোনও শৌচালয় না থাকায় এইভাবেই তাঁরা টানা ১০ ঘণ্টা অবিরাম কাজ করতে থাকেন।



মহাজনরাই কয়লা ডিপোগুলির পুরো এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ করেন। এক একটি ডিপোর দেখাশোনার দায়িত্বে এক একজন সুপারভাইজার। তাঁরা মহিলা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন- তাঁদের কাজ দেন এবং সেই কাজের তদারকি করেন এবং কতটা কাজ হল তার হিসেব রাখেন এবং সেই মতো মজুরি দেন।
তামলাবস্তির একটি ডিপোর সুপারভাইজার অনিল কুমার শ জানালেন, “মহিলারা যেসব কয়লা সংগ্রহ করেন সেগুলো ট্রাকে তোলা হয়, তারপর রাস্তার ধারে ধাবা, বিস্কিট কারখানা এবং কখনও কখনও সেইসব বাড়িগুলোতেও বিক্রি করা হয় যেগুলি এখনও রান্নার জন্য কয়লা ব্যবহার করে।” শ ডিপোর কাজে মহিলাদেরই অগ্রাধিকার দেন যেহেতু তাঁরা কয়লার জন্য বেশি পারিশ্রমিক দাবি করেন না এবং আর তিনি এই ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত থাকেন যে দিনের শেষে বিক্রয়যোগ্য কয়লা ঠিক নিয়ে আসবেন তাঁরা। এই প্রতিবেদনের জন্য যেসব মহিলা শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সকলেই মনে করেন তাঁদের সুযোগ নেওয়া হয়, কিন্তু এই কাজ করে যাওয়া ছাড়া গতি নেই কারণ এখানে অন্য কোনও কাজ মেলে না।
শহরের প্রান্তে তামলাবস্তির মতো জায়গাগুলিতে এইসব ডিপো অবস্থিত। কাছাকাছি যে তামলা খাল রয়েছে তার থেকেই এই নাম। দুর্গাপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমে এই এলাকাটি বর্জ্য কয়লার ৬-৭ ফুট উঁচু ঊঁচু ঢিপিতে ভরা। যাঁরা এখানে কজ করেন তাঁরা সংলগ্ন এলাকাতেই ত্রিপল ও মাটি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরে থাকেন। এখানে ট্রাক ভর্তি ও খালি করার কাজে পুরুষদের মাঝে মাঝে নিয়োগ করা হয়।


প্রবোধ মল্লিক এমনই এক শ্রমিক। তাঁর স্ত্রী, তুলিকা মল্লিক কাছেই কয়লা ঝাড়াই করছেন। ৩৬ বছর বয়সী প্রবোধ বলেন এখানে একমাত্র এই কাজই আছে, তবে তিনি যে প্রায়ই এই কাজ পান এমন নয়। তাঁর কথায়, “বাড়িতে চারজন সদস্য – আমার স্ত্রী, আমাদের ছোটো একটা ছেলে এবং আমার মা। আমি মাসে ৪৫০ থেকে ৫০০ রোজগার করি।” কয়লা ঝেড়ে তুলিকার মাসিক রোজগার বাবদ যে ৪,০০০ টাকা আসে, তাতেই তাঁদের সংসার চলে।
পঞ্চাশের শেষে এসে বয়স ঠেকেছে। প্রায় চার দশক পরেও নিয়তি বাহাদুর এখনও ডিপোয় কাজ করছেন। তিনি বলছিলেন, “সেই তখন থেকে [নব্বইয়ের দশকে] এই ডিপোগুলিই আমার রোজগারের একমাত্র উৎস।” তিনি আরও জানালেন, “আমি এখন আর ঝুঁকে একটানা কাজ করতে পারি না। তাই বাড়ি থেকে টুল নিয়ে আসি, তাতে বসেই কাজ করি। আজকাল আমি দিনে মাত্র পাঁচ ঝুড়ি কয়লাই তুলতে পারি।”

নিয়তি চার সন্তানের মা- তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। তিনি বলছিলেন, “আমার মেয়ে পড়াশোনায় ভালো ছিল, আমার ছেলেগুলোর মতো নয়। আমার ইচ্ছে ছিল সে উচ্চশিক্ষিত হয়ে যেন ভালো চাকরি করে। কিন্তু আমাদের সেই ক্ষমতা ছিল না। তাই আমরা কম বয়সেই তার বিয়ে দিয়েছি।” তাঁর স্বামী দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে একসময় স্থায়ী কর্মচারী ছিলেন। নিয়তির কথা অনুযায়ী, তিনি সব টাকা মদের পিছনে খরচ করে ফেলতেন, প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন; এই পরিস্থিতেতে তাঁর চাকরি চলে যায়। নিয়তি এবং তাঁর স্বামী তাঁদের বড়ো ছেলে ও তার পরিবারের সঙ্গে থাকেন। ছেলে স্টিল প্লান্টেই দিনমজুরি করেন।
তামলাবস্তির নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্র পলাশডিহা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখান থেকে প্রায় ২.৫ কিলোমিটার দূরে। সেই সেন্টারের আশা-কর্মী বলছেন অনিতা রায়, ডিপোতে কর্মরত বেশিরভাগ শ্রমিক স্বাভাবিকভাবেই ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে যক্ষা, ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির মতো রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তাঁর কথায়, “কয়লার গুঁড়োর মধ্যে অনেকক্ষণ টানা কাজ করার ফলে তাঁদের অনেকেরই আবার চর্মরোগও হয়। ডিপোতে যেসব বাচ্চা তাদের মায়েদের এই কাজে সাহায্য করে তাদের অনেকেই চর্মরোগে আক্রান্ত হয়।” মহিলারা নানা ধরনের স্ত্রীরোগঘটিত জটিলতায় (মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জনিত কারণে) ভোগেন এবং দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখার জন্য তাঁদের মধ্যে মূত্রনালির সংক্রমণ হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা অল্প বয়সী মহিলাদের অনিতা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে রাজি করাতে পেরেছেন।
লকডাউন এবং স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া – এই দু’য়ে মিলে ছবি রানী মুর্মুর মতো মেয়েদের আবার সারাদিন কয়লা খোদাইয়ের জন্য ডিপোয় ফিরতে বাধ্য করেছে। ১৮ বছর বয়সী মেয়েটি ২০২০ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে এবং দুর্গাপুরে একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার আশায় ছিল এবং স্বপ্ন দেখছিল একটা সরকারি চাকরি জোটানোর। ছবি ৫ বছর বয়স থেকেই এবং স্কুলের পড়াশোনা করতে করতেই মাকে ডিপোর কাজে সাহায্য করত। সে জানাচ্ছে, “সপ্তাহের শেষে ছুটির দিনে এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিনে স্কুলের পর আমি মাকে ডিপোর কাজে সাহায্য করতাম। সাধারণত আমি দিনে ১০ ঝুড়ি কয়লা সংগ্রহ করতে পারি কিন্তু এই গরমে মাথায় কোনও ছাউনি ছাড়া কাজ করা খুব কষ্টকর।” ছবি এবং তার মা মাথা ঢাকার তাগিদে বড়ো একখানি ছাতা মাটিতে গুঁজে তার তলায় বসে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে বিশেষ সুবিধা করা যায়নি। বৃষ্টি হলেই ডিপো বন্ধ থাকে এবং কয়লা সংগ্রহকারীদের সেইদিনের রোজগারটুকু খোয়া যায়।
লকডাউনে কলেজ বন্ধ থাকায় দুর্গাপুর উইমেন্স কলেজের সংস্কৃত ভাষার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সবিতা সরেন এখন ডিপোর কাজে মাকে সাহায্য করে। সূর্যের তেজ থেকে বাঁচতে সে তার সালওয়ার কামিজের ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছে। সে বলছে, “এখানে এই পড়ে থাকা আবর্জনা থেকে কয়লার চাঁই আলাদা করতে ভয়ানক খাটনি করতে হয়। মহিলারা যে এই কাজটা করেন, তা খুব কঠিন।” সবিতার মা নিয়মিত ডিপোতে কাজ করেন। তিনি তাঁর মেয়ের পড়াশুনো নিয়ে খুবই আগ্রহী, তাই মেয়ের কলেজ একদিনও কামাই হতে দেন না।


রিমা মাঝি কলেজে যাতায়াত বাবদ অটো এবং বাসের খরচ মেটানোর জন্য মাঝেমধ্যে ডিপোতে কাজ করে। তামলাবস্তি থেকে নয় কিলোমিটার দূরে মাইকেল মধুসূদন কলেজে সে পড়ে। যেহেতু কলেজ বন্ধ সেই টাকা এখন তার ফোর-জি কানেকশনের জন্য লাগে। সে তার দিদি এবং বাবার সঙ্গে থাকে। বাবা দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের শ্রমিক। প্রতিভাবান দৌড়বিদ এবং অ্যাথলিট রিমা স্কুলে বিভিন্ন খেলায় পুরস্কার পেয়েছে। হাসিমুখে সে আমাদের জানায়, “আমার দিদি ডিপোয় মজুরি করে। পরের বছর তার বিয়ে। কিন্তু আমি আমার স্নাতক শেষ করে রেখা দিদির মতো সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে চাই।”
কয়লা সংগ্রাহক কুন্তি রাজভারের মেয়ে রেখা বর্তমানে আসাম রাইফেল আর্মি কন্টিনজেন্টের আধাসামরিক বাহিনীতে জওয়ান (সেনা) পদে নিযুক্ত হয়েছেন। মেয়ের কথা বলার সময় কুন্তির চোখ আনন্দে চিকচিক করে ওঠে। তাঁর কথায়, “আমাদের গোটা জীবনে আমরা যা পারিনি, আমরা চেয়েছি আমাদের সন্তানেরা সেই সব কিছু পাক।”
রেখা নিজের বাড়ি ফিরেছেন, আমাদের বলছিলেন, “এখন যেহেতু আমার একটা চাকরি আছে, পরিবারের আর্থিক অবস্থা একটু ভালো। মাটির বাড়ি কিছুদিন আগেই সিমেন্ট দিয়ে পাকা করা হয়েছে। এইসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমার মায়ের জন্য। তিনি সবসময় চেষ্টা করে গেছেন যাতে আমার পড়াশোনায় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে।”
Editor's note
অধ্যেতা মিশ্র কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের স্নাতক স্তরের ছাত্রী। তিনি মহিলা শ্রমিকদের, বিশেষত দুর্গাপুরের স্টিল প্লান্টের শিল্প বর্জ্য থেকে কয়লা সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত মহিলাদের জীবন বিষয়ে আগ্রহী। তাঁর কথায়: “কয়লা খনির শ্রমিকদের নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে তবে কয়লা খনির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই পেশায় নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকরা প্রাপ্য মনোযোগটুকু পাননি। পারি’র মাধ্যমে আমি সেই মহিলাদের সংগ্রাম বিষয়ে লেখার সুযোগ পেয়েছি এবং কেমন করে এই কাজে যাবতীয় তথ্য ব্যবহার করে ব্যাপ্তি আনা যায় সে সম্পর্কেও আমাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছে।"
অনুবাদ: অঙ্কিতা পাল
অঙ্কিতা পাল বর্তমানে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞাপন ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী। তিনি ফ্রিল্যান্সার অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন। গ্রামীণ ভারত ও দেশের আদিবাসী সমাজ– এই দুটি তাঁর আগ্রহের বিষয়।